জীবনী
মি. জিয়াদ আলী, বয়স ৬২, একজন সৎ, নিষ্ঠাবান এবং উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি। বর্তমানে তিনি একটি সম্মানিত মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার জীবনের প্রতিটি ধাপে রয়েছে পরিশ্রম আর সংগ্রামের গল্প। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হিসেবে তিনি ছোটবেলা থেকেই অর্থনৈতিক চাপে ছিলেন। তবুও তার অধ্যবসায় ও একাগ্রতায় তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং এম.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন।
শিক্ষাজীবন শেষ করার পর তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হিসেবে যোগ দেন এবং দীর্ঘদিন সেখানে দায়িত্ব পালন করেন। তার শিক্ষা, সততা, এবং জ্ঞানচর্চা তাকে শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় করে তোলে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি সমাজসেবা ও শিক্ষাক্ষেত্রে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত করেন। মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে তার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি ব্যবস্থা চালু করা, শিক্ষার মান উন্নয়ন, এবং ইসলামী মূল্যবোধ প্রচার তার অগ্রাধিকার। মি. জিয়াদ আলী একজন আদর্শ মানুষ, যিনি জীবনের প্রতিটি ধাপে নিজের পরিশ্রম, নৈতিকতা, এবং মানবসেবার মাধ্যমে সমাজের জন্য অনুকরণীয় হয়ে উঠেছেন।
বাণী
মি. জিয়াদ আলীর কিছু অনুপ্রেরণামূলক বাণী:
- "পরিশ্রম কখনও বৃথা যায় না, এটি একদিন সফলতার সিঁড়ি তৈরি করে।"
- "শিক্ষা শুধু সার্টিফিকেটের জন্য নয়, এটি একটি চরিত্র গঠনের প্রধান মাধ্যম।"
- "যদি সত্যিকারের পরিবর্তন চাও, তবে নিজেকে বদলাও এবং অন্যকে অনুপ্রাণিত করো।"
- "দারিদ্র্য জীবনের অন্তরায় নয়, এটি সফল হওয়ার অনুপ্রেরণা হতে পারে।"
- "যে শিক্ষা মানবিকতা শেখায় না, তা কখনো পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা হতে পারে না।"
- "জীবনে সাফল্য তখনই আসবে, যখন পরিশ্রম, ধৈর্য, আর সততার সমন্বয় থাকবে।"
- "প্রতিটি শিশুই একটি বীজ, সঠিক পরিচর্যা পেলে একদিন তারা মহীরুহ হয়ে উঠবে।"
- "মানুষের জীবনের প্রকৃত সম্পদ হলো তার নৈতিকতা এবং সততা।"
- "ইসলাম শুধু ধর্ম নয়, এটি মানবিকতার পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা।"
- "সমাজের উন্নতি চাইলে প্রথমে শিক্ষার মান উন্নত করতে হবে।"
এগুলো তার দর্শন ও জীবনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে গড়া বার্তা হতে পারে, যা মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।